বরিশালে জাল মেডিকেল সনদ দাখিল করে আদালতে মামলা করায় বাদীকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে

অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ বুধবার সকালে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত লুৎফর রহমান বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুপারজোর এলাকার জয়নাল সরদারের ছেলে।

সূত্র জানায়, ৪ এপ্রিল বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এসএম মাহফুজ আলমের আদালতে একটি নালিশি মামলা করেন লুৎফুর রহমান। অভিযোগে তিনি বলেন, তার ভাবি রেহেনা বেগমকে ৩০ মার্চ বাকেরগঞ্জের ৫ ব্যক্তি মারধর করেছে। মামলা করার জন্য তখন তিনি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষর করা মেডিকেল সনদ দাখিল করেন।

পুলিশি তদন্ত ছাড়া মেডিকেল সনদ পাওয়ার বিধান না থাকা সত্ত্বেও বাদী সনদ দাখিল করায় আদালত রহস্য দেখতে পান। সনদ যাচাইয়ের জন্য হাসপাতালের পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠান আদালত। উত্তরে ওই চিকিৎসক জানান, সনদের সিল ও স্বাক্ষর তার নয়। আদালত প্রতিবেদন পেয়ে লুৎফর রহমানের ভুয়া ডাক্তারি সনদ দাখিলের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

জেরার মুখে লুৎফর রহমানও আদালতের কাছে সনদ জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালতের পক্ষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মাহফুজ আলম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বুধবার সকালে তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়াও তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।